'দেশকে স্বাবলম্বী করতে কৃষি উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে'
প্রকাশ :
সংশোধিত :
‘কৃষিখাত নিয়ে নতুন প্রকল্পে সারা দেশে ২০ হাজার উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে তারা নিজে স্বাবলম্বী হবেন, দেশকে স্বাবলম্বী করবেন। এজন্য কৃষি উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, তবেই সফল হওয়া সম্ভব।’ ফরিদপুরে সম্ভাব্য কৃষি উদ্যোক্তা বাছাইয়ের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ কর্মশালায় এসে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ইমরুল মহসিন এসব কথা বলেন।
ফরিদপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উদ্যোগে শহরের এসডিসি টাওয়ারের ৬ষ্ঠ তলার সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্ট্রিপ্রিনিউরশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ পার্টনার (ডিএএম অঙ্গ) কর্তৃক প্রকল্পে এজেন্সি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর পার্টনারের (ডিএএম অঙ্গ) সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ওমর মো. ইমরুল মহসিন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মহিদুল ইসলাম, বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র ফরিদপুরের যুগ্ম পরিচালক এস.এম. ইকরামুল হক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপ-পরিচালক এএসএম মঈনুল আহসান, সিনিয়ার মনিটরিং অফিসার (ডিএএম অঙ্গ) ড. নাসরিন সুলতানা, কনসালটিং পার্টনার (ডিএএম অঙ্গ) ড. মো. মাহবুব আলম, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ফরিদপুরের সিনিয়র কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন প্রমুখ।
কর্মশালায় জানানো হয়, সবজি ও ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ, মসলা প্রক্রিয়াজাতকরণ, দুগ্ধ জাত পন্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, কৃষি পর্যটন, মাশরুম চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে উদ্যোক্তাদের জন্য সম্ভাব্য ৮টি ব্যবসায়ীক খাত রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে জেলার সদর, মধুখালি, বোয়ালমারি ৩টি উপজেলার ৫০ জনকে দেশের ১০টি পার্টনার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এসকল খাতে জেলার ১শ জন নারী-পুরুষকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে বাছাই করে ট্রেনিং দেওয়া হবে।
উদ্যোক্তাদের জন্য ১২ দিনের ট্রেনিং শেষে ইনকিউবিউশন সার্পোট দেবে সরকার। এরপর সরকারিভাবে ৭০ ভাগ ভর্তুকি দিয়ে সহযোগিতা করা হবে। অনুষ্ঠানে জেলার ৩টি উপজেলা থেকে ৫০ জন উদ্যোক্তা বাছাইয়ের পরামর্শ কর্মশালায় উপস্থিত ছিল।