সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভ শেষে কাজে ফিরলেন এনবিআর কর্মকর্তারা

প্রকাশ :
সংশোধিত :

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর সারা দেশের কাস্টমস হাউজগুলোতে পূর্ণ কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। এতে সবপক্ষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়েছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি আশাব্যঞ্জক উন্নয়ন।
সোমবার সকালে এনবিআর সদর দফতরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
তিনি বলেন, “আজ সকাল থেকেই আমাদের সব অফিসে কাজ শুরু হয়েছে। সকলের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। সব কাস্টমস হাউজ, আইসিডি, ভ্যাট ও কর অফিস চালু রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ ৩০ জুন বছরের শেষ দিন। আমাদের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনে রাজস্ব খাত থেকে প্রাপ্ত সব অর্থ সরকারি কোষাগারে আনার জন্য বড় ধরনের অভিযান চালানো হয়। সেই কাজ এখন চলছে।”
চেয়ারম্যান জানান, আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত আমরা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছি। আজকের জমার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামীকাল পাওয়া যাবে। এছাড়াও সরকারি প্রকল্পসংক্রান্ত কর ও ভ্যাট বিলগুলো কিছুটা সময় নিয়ে সমন্বয় হয়। সাধারণত জুন মাসের চূড়ান্ত হিসাব সম্পন্ন করতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগে।
তিনি বলেন, “আমাদের রাজস্ব রিপোর্টিং এখন সম্পূর্ণ ডিজিটাল ও নিয়মতান্ত্রিক। আর ম্যানুয়াল রিপোর্টিংয়ের প্রয়োজন পড়ে না। সংগ্রহের তথ্য সরাসরি iBAS-এর মাধ্যমে আসে। ফলে এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্টে কোনো পার্থক্য থাকে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা নিশ্চিত, চলতি বছরের রাজস্ব আদায় গত বছরের চেয়ে বেশি হবে। তবে গত কয়েকদিনের কাজের বিঘ্ন কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে, রাজস্ব আদায়ও কম হয়েছে। তবুও আজ এখনও সময় আছে।" কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, “আমাদের কর কর্মকর্তারা জানেন তাদের লক্ষ্য কী, কারা করদাতা এবং কারা বছরের শেষ দিনে কর দেবেন। আজ সব অফিস ও ব্যাংক খোলা আছে, তাই আমি বিশ্বাস করি ভালো অংকের অর্থ জমা হবে। সরকারিভাবে বিল সমন্বয় হওয়ার পর চূড়ান্ত অঙ্ক অবশ্যই গত বছরের চেয়ে বেশি হবে। সম্ভবত আমাদের প্রত্যাশার কাছাকাছি কিছুটা প্রবৃদ্ধি হবে। আর যেটুকু ঘাটতি থাকবে, তা জুলাইয়ে নতুন করে সংগ্রহের চেষ্টা করব, কারণ ওই সময় সরকারের অর্থব্যয়ের প্রয়োজন থাকবে।"
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “যা কিছু ঘটেছে তা ভুলে গিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে, দেশের স্বার্থে আমাদের কাজ শেষ করতে হবে এবং একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমি আশা করি, আমরা ভবিষ্যতে এমন বড় ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হব না।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের রাজস্ব কর্মকর্তারা যেমন দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আগেও কাজ করেছেন, আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যতেও ঠিক তেমন করেই কাজ করবেন।”

