ইনস্যুরেন্স বিষয়ে তরুণদের সচেতনতার আহ্বান আইডিআরএ চেয়ারম্যানের

অ্যাকচুয়ারি ও স্বাস্থ্যবিমা সম্প্রসারণে জোর

প্রকাশ :

সংশোধিত :

বাংলাদেশের বিমা খাতকে আধুনিক ও তরুণ স্নাতকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে অধিকসংখ্যক অ্যাকচুয়ারি তৈরি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিমা সম্প্রসারণ এবং পুরো খাতের আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করছেন রোববার আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা।

“ইনস্যুরেন্স সেক্টরের সম্ভাবনা ও ক্যারিয়ার সুযোগ” শীর্ষক এ সেমিনারটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ড. আবদুল্লাহ ফারুক মাল্টিপারপাস কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ।

ইনস্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটি (আইডিআরএ)-এর চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম প্রধান অতিথি ও সভাপতি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আইডিআরএ-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, তিনি তরুণ প্রজন্মকে অল্প বয়স থেকেই বিমার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে তারা সারাজীবনের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে।

ড. আলম বলেন, বিমা প্রত্যেকের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিমা চালু করা জরুরি।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, বিমা খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে শিক্ষা পাঠ্যক্রমের সমন্বয় ঘটাতে শিল্প ও শিক্ষাক্ষেত্রের মধ্যে আরও সংলাপ প্রয়োজন।

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ উসমান ইমাম বলেন, দেশে জীবনবিমার গ্রাহক সংখ্যা কমছে; তাই খাতে শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ, টেকসই কার্যক্রম এবং বিমা পণ্য ও সেবায় নতুনত্ব আনতে হবে।

আইডিআরএ-এর সদস্য (প্রশাসন) মো. ফজলুল হক বলেন, বিশ্বব্যাপী অ্যাকচুয়ারি পেশাটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও কারিগরি জ্ঞাননির্ভর। তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র চার থেকে পাঁচজন অ্যাকচুয়ারি আছেন এবং শিক্ষার্থীদের আইডিআরএ’র অ্যাকচুয়ারি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় এই সম্ভাবনাময় পেশায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুবর্ণ বড়ুয়া বলেন, নিম্ন বেতন কাঠামো ও ডিজিটাল ব্যবস্থার অভাবে দক্ষ স্নাতকরা বিমা খাতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। তিনি বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস এবং পুনর্বিমার (reinsurance) সুযোগ সম্প্রসারণের আহ্বান জানান, যাতে খাতটি আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠে।

অধ্যাপক হাসিনা শেখ বলেন, কার্যকর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি স্বাস্থ্যবিমা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

সর্বশেষ খবর