গ্যাস সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিটিএমএ সভাপতির উদ্বেগ প্রকাশ

প্রকাশ :

সংশোধিত :

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেছেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত গ্যাস মজুত রয়েছে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ কখনও নতুন কূপ খননের উদ্যোগ নেয়নি। 

তিনি বলেন, "এর পরিবর্তে, তারা এলএনজি আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, যা মূলত একটি অলিগার্ক শ্রেণিকে লাভবান করেছে। এটি ছিল পূর্ববর্তী সরকারের অনুসৃত পথ।'   

দুর্ভাগ্যবশত, বর্তমান সরকারও একই পথে হাঁটছে বলে মনে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, "এখন তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কি দেশের শিল্পখাতকে ধ্বংস হতে দেবে, না কি এগিয়ে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে?"  

তিনি বলেন, পূর্ববর্তী সরকার অনেক খাতে, বিশেষ করে জ্বালানির ক্ষেত্রে, ভারতের ওপর উচ্চমাত্রার নির্ভরশীলতা তৈরি করেছে। আমরা সেই নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে চাই, কারণ ভারত কখনও উভয়পক্ষের জন্য লাভজনক দ্বিপাক্ষিক বা কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর বিশ্বাস করে না। 

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিরোধিতা করে তিনি বলেন, "যেকোনো পরিস্থিতিতেই এই মূল্যবৃদ্ধি গ্রহণযোগ্য নয়। বরং, এখন দাম কমিয়ে ২০ টাকার কাছাকাছি আনা উচিত।" 

তিনি আরও বলেন, "বিপিসি, তিতাস এবং এ ধরনের সংস্থাগুলো মুনাফাকেন্দ্রিক মানসিকতা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে, কিন্তু তাদের কার্যক্রমে উপকার পাচ্ছে না সাধারণ ভোক্তা বা শিল্পখাত।"  

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ভিত্তি হলো জ্বালানির নিশ্চয়তা। কিন্তু বারবার গ্যাসের দাম বাড়ালে আমরা কীভাবে বিনিয়োগকারী প্রত্যাশা করব?" 

তিনি সতর্ক করে বলেন, এই ধরনের মূল্যবৃদ্ধি নতুন বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।  তিনি আরও বলেন, "যদি সরকার পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার করতে পারত, তাহলে খুব সহজেই চলমান জ্বালানি সংকট মোকাবিলা করা যেত।" 

সর্বশেষ খবর