দিনের শুরুতে শেয়ার বাজারে পতন, অংশগ্রহণ অত্যন্ত সীমিত
প্রকাশ :
সংশোধিত :
রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে শেয়ার বাজার খোলার সময় শেয়ারের জন্য বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কম ছিল। মূলধন ক্ষতির সম্ভাবনা এড়াতে শেয়ারে বিনিয়োগ করতে বিনিয়োগকারীদের অনিচ্ছার কারণেই এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
বাজার অপারেটররা জানান, বিনিয়োগকারীরা তাদের ইকুইটি এক্সপোজার কমাতে পছন্দ করছেন এবং জুন-এন্ডিং কোম্পানির আয় ঘোষণা নিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝে অপেক্ষা করাটাই শ্রেয় মনে করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শীর্ষস্থানীয় ব্রোকার বলেন, বেশ কয়েকটি কঠোর নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা, নীতিগত পরিবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান সুদের হার বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে ক্ষুণ্ন করেছে, যা চলমান বাজারের নিম্নমুখীতায় অবদান রেখেছে।
পূর্ববর্তী দিনে বড় ধরনের পতনের পর, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক প্রথম দুই ঘণ্টার মধ্যে ২৭ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে ৫,২৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
৩০টি প্রসিদ্ধ কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ সূচকও ১০ পয়েন্ট কমে ১,৯১৯ এ দাঁড়িয়েছে এবং শারিয়া-ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ডিএসইএস সূচক ৫ পয়েন্ট কমে ১,১৬৯ এ পৌঁছেছে।
বাজারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক টার্নওভার তখন পর্যন্ত মাত্র ১৩২ কোটি টাকা ছিল।
তখন পর্যন্ত লেনদেন হওয়া ৩৭৩টি শেয়ারের মধ্যে ২৩৭টির দর কমেছে, ৯১টির বেড়েছে এবং ৬৫টি অপরিবর্তিত রয়েছে।
লাভেলো আইসক্রিম তখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া শেয়ার ছিল, যার শেয়ার ১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকায় হাতবদল হয়েছে। পরবর্তী স্থানগুলোতে ছিল, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক এবং আগ্নি সিস্টেমস।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও তখন পর্যন্ত নেতিবাচক প্রবণতা ছিল, এর অল শেয়ার প্রাইস ইনডেক্স (সিএএসপিআই) ১০৫ পয়েন্ট কমে ১৪,৭১৬ এ দাঁড়িয়েছে, সিলেকটিভ ক্যাটাগরিজ ইনডেক্স (সিএসসিএক্স) ৫৯ পয়েন্ট কমে ৮,৯৫৩ এ পৌঁছেছে।