হালদা নদী দূষণের অভিযোগে অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র চট্টগ্রামের হালদা নদী দূষণের ঘটনায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়।

চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের রিসার্চ অফিসার আশরাফ উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার (১০ জুন) এ মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ফটিকছড়ির রোসাংগিরী ইউনিয়নের তেরপারী খালের ব্রিজসংলগ্ন অংশে ঈদুল আজহার পরদিন কোরবানির প্রায় ৫০০টি পশুর চামড়া ও অন্যান্য বর্জ্য ফেলে রাখা হয়। এই তেরপারী খাল হালদা নদীর একটি শাখা খাল হিসেবে পরিচিত।

ঘটনার খবর পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় এবং পরিবেশ দূষণের প্রমাণ পাওয়ার পর মামলা দায়ের করে। এজাহারে বলা হয়, ফেলে দেওয়া চামড়াগুলো পচে গিয়ে হালদা নদীর পানির মান বিপজ্জনকভাবে দূষিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আশরাফ উদ্দিন আরও জানান, ৮ জুন একদল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ট্রাকে করে অবিক্রীত কোরবানির পশুর চামড়া এনে খালে ফেলে যায়। তেরপারী খাল সরাসরি হালদা নদীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এই দূষণের প্রভাব নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মাছের প্রজনন ব্যবস্থার ওপর পড়তে পারে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রায় ৬০০-৭০০টি চামড়া খাল থেকে তুলে মাটিতে পুঁতে রাখার ব্যবস্থা করেন। তবে কে বা কারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত, তা এখনো জানা যায়নি।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বিষয়টি এখন কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারিতে রয়েছে। পরিবেশবাদী আইনজীবী ও উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান শুরু থেকেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।