নতুন গান ‘বাজি’ নিয়ে ফিরেছে কোক স্টুডিও বাংলা

প্রকাশ :
সংশোধিত :

একসাথে আদিবাসী ও লোকজ সঙ্গীত মিশ্রণে সঙ্গীতশিল্পী ইমন চৌধুরী ও হাশিম মাহমুদের প্রেমের এক নতুন গান “বাজি” নিয়ে ফের আলোচনায় কোক স্টুডিও বাংলা।
বাজি কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের চতুর্থ গান। গানটি গতকাল শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে প্রকাশিত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে কোক স্টুডিও বাংলা জানায়, এই গানটি সুর ও সংগীতের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে উদযাপন করে।
ইমন চৌধুরীর সুর ও পরিচালনায় তৈরি “বাজি” গানটিতে হাশিম মাহমুদ কণ্ঠ দিয়েছেন।
ইমন বলেন, “কোক স্টুডিও বাংলার ফেরাটা সত্যিই আনন্দের। আমরা ‘বাজি’ গানটি আমাদের শ্রোতাদের কাছে নিয়ে আসতে পেরে খুবই উচ্ছ্বসিত।”
তিনি আরও বলেন, “এই গানটি আমাদের জন্য খুব স্পেশাল, কারণ শিল্পীরা তাদের সবটুকু ঢেলে দিয়েছেন। গানটির গীত, সুর, নাচ ও দৃশ্যায়ন—সবকিছুই একসাথে মিলেমিশে বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে।”
“বাজি” গানটিতে নানা ধরণের লোকজ ঐতিহ্য থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে। এতে আদিবাসী বাদ্যযন্ত্র ও চিত্ররঙিন ভিজ্যুয়াল একত্রে গেঁথে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সরোদ বাজানো হয়েছে আধুনিক সুরের পটভূমিতে, যা পুরনো লোকগীতি ও সমকালীন সাউন্ডের মধ্যে একটি ভারসাম্য তৈরি করেছে বলে জানান ইমন।
এই প্রযোজনায় টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী ধুয়া গান দলকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যারা একটি বৃত্তাকারে নৃত্য পরিবেশন করে গানে প্রাণ যুক্ত করেছে।
গানের সাউন্ডস্কেপকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন বাঁশিবাদক ক্যোপ্রু মারমা এবং তার দাদী ম্রাকোই চিং মারমা, যিনি মারমা ভাষায় কণ্ঠ দিয়েছেন।
বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা ম্রাকোই চিং মারমার কণ্ঠ গানটিকে দিয়েছে এক অনন্য মাত্রা।
এছাড়াও, চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাকসের বম সম্প্রদায় পরিবেশন করেছে শাস্ত্রীয় উপজাতীয় নৃত্য এবং মণিপুরী পুং ঢোলে পরিবেশিত হয়েছে পুং চোলম (একটি শাস্ত্রীয় মণিপুরী নৃত্যরূপ), যা গানটিতে ছন্দ ও গতি যোগ করেছে।
“বাজি” গানটি এখন পাইয়া যাচ্ছে স্পটিফাই এবং কোক স্টুডিও বাংলার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।

