২০২৫ সালে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার প্রবৃদ্ধি কমার আশঙ্কা: আইএমএফ

প্রকাশ :
সংশোধিত :

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০২৫ সালে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম হতে পারে। সংস্থাটি বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা, অনিশ্চয়তা এবং আঞ্চলিক সংঘাতকে এই দুর্বল প্রবৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে দেখছে।
আইএমএফ-এর আঞ্চলিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে দুবাই থেকে এএফপি জানিয়েছে, ২০২৫ ও ২০২৬ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়লেও তা পূর্বাভাস অনুযায়ী হবে না। ২০২৫ সালের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২.৬ শতাংশ এবং ২০২৬ সালের জন্য ৪.২ থেকে ৩.৪ শতাংশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক শুল্কবিভাজন, তেল উৎপাদনে ধীরগতি, চলমান সংঘাত এবং কাঠামোগত সংস্কারের অগ্রগতির অভাব; এসবই প্রবৃদ্ধি কমার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি এই অঞ্চলে সরাসরি প্রভাব ফেলবে না বলে আইএমএফ মনে করে, কারণ এখানকার অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কম সংযুক্ত এবং জ্বালানি খাত শুল্কমুক্ত। তবে বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগ, আর্থিক বাজার এবং তেলের দামের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
২০২৪ সালে এই অঞ্চলের গড় প্রবৃদ্ধি কমে ১.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ২.১ শতাংশ। এর পেছনে চলমান সংঘাত এবং তেল উৎপাদন হ্রাসকে দায়ী করা হয়েছে।
তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ২০২৫ সালের জন্য ১.৭ শতাংশ পয়েন্ট কমানো হয়েছে। উপসাগরীয় ধনী দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ হতে পারে, তবে ইরাকে প্রবৃদ্ধি কমে ১.৫ শতাংশ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
সুদান, ইয়েমেন ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ সংকটজনক। ২০২১ সালের পর থেকে এই অঞ্চলগুলোতে আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রায় ২৫ শতাংশ কমে গেছে, এবং ভবিষ্যতে তা আরও কমতে পারে।
লেবানন ও সিরিয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট পূর্বাভাস না দিলেও আইএমএফ বলছে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারলে এসব দেশ পুনরুদ্ধারের পথে এগোতে পারে।
আইএমএফ-এর মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়া বিভাগের পরিচালক জিহাদ আজউর বলেন, উপসাগরীয় দেশগুলো সহায়তায় আগ্রহী থাকলেও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকেই বিশ্বাস পুনর্গঠনে দায়িত্ব নিতে হবে।
 
 
              For all latest news, follow The Financial Express Google News channel.