এডিপি বাস্তবায়নে পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অগ্রগতি

প্রকাশ :

সংশোধিত :

চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের গতি ছিল গত পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। বাস্তবায়নের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৬ দশমিক ৬৫ শতাংশে, যা বিগত পাঁচ বছরের তুলনায় সর্বনিম্ন।

অর্থ খরচের দিক থেকেও এ বছর পিছিয়ে আছে এডিপি। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) খরচ হয়েছে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা কম। আগের বছর একই সময়ে খরচ হয়েছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৬১২ কোটি টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এ সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতা, সরকার পরিবর্তন এবং ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের অনুপস্থিতির প্রভাব এডিপি বাস্তবায়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

চলতি অর্থবছরের শুরুতে এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। পরে তা হ্রাস করে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা করা হয়।

এ সময়ের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুটি প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। তবে পুরো নয় মাসে এ খাত থেকে এক টাকাও খরচ হয়নি, অর্থাৎ দুদকের এডিপি বাস্তবায়নের হার শূন্য।

এ ছাড়া আরও ১৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের বরাদ্দের ২৫ শতাংশেরও কম খরচ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন। 

 

সর্বশেষ খবর