ঋণ পর্যালোচনা দলের ঘোষণা আজ

আইএমএফ-এর সম্ভাব্য ১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দুই কিস্তিতে ছাড়

প্রকাশ :

সংশোধিত :

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে একসঙ্গে দুই কিস্তিতে ১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়ার  ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ঋণ প্রদান সংক্রান্ত  শর্তসমূহ পর্যালোচনার ধাপগুলো সম্পন্ন হওয়ায় তারা এ আশা প্রকাশ করেছেন।

তারা জানান, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আইএমএফ-এর স্টাফ-লেভেল চুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দেওয়া হবে।

আইএমএফ পর্যালোচনা মিশনের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে একটি দল গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল)  বিকেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করে এবং এটি ইতিবাচকভাবে শেষ হয় বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল এই মিশনটি ঢাকায় আসে এবং আজকের ঘোষণার মধ্য দিয়ে এটি শেষ হবে।

জানা গেছে, প্রতিটি ৫৭০ মিলিয়ন ডলার করে ১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারের তহবিলটি চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির আওতায় আসবে। চতুর্থ কিস্তিটি চিলতি বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আসার কথা থাকলেও বাংলাদেশ অতিরিক্ত রাজস্ব সংগ্রহ এবং বিনিময় হার নমনীয়তার দুটি পূর্বশর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় আইএমএফ এর  অনুমোদন স্থগিত করে।

পরে আইএমএফ জানায়, চতুর্থ কিস্তির অনুমোদন পঞ্চম কিস্তির পর্যালোচনার সঙ্গে একত্রে দেয়া হবে। 

প্রায় দুই সপ্তাহব্যাপী আইএমএফ দলের সঙ্গে আলোচনার কথা উল্লেখ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা নিশ্চিতভাবে দুই কিস্তি একসঙ্গে পাচ্ছি। ” 

তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করতে পারেননি যে, গত সেপ্টেম্বর মাসে দুই পক্ষের সম্মতিতে অনুমোদিত অতিরিক্ত ৭৫০ মিলিয়ন ডলারও এখন আসবে কি না।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে সহায়তা করতে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ মঞ্জুর করে। এ ঋণ ২০২৬ সালের মে মাসের মধ্যে সাত কিস্তিতে দেওয়ার কথা ছিল।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আইএমএফ-এর পরামর্শ অনুযায়ী অতিরিক্ত রাজস্ব সংগ্রহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। ফান্ডটি আগামী অর্থবছরের বাজেটে ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত শূণ্য দশমিক ৯ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যে উচ্চ রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে চাপ দিচ্ছিল।

বিনিময় হার নমনীয়তার ক্ষেত্রে দুই পক্ষের মধ্যে একটি প্রকার সমঝোতা হয়েছে, যদিও কিছু মতপার্থক্য এখনও মীমাংসা হয়নি বলে কর্মকর্তারা জানান।

তবে অপর এক কর্মকর্তা জানান, যদি কিছু মুলতুবি থাকা বিষয়ের ওপর শেষ মুহূর্তে সমঝোতা হয়, তাহলে প্রতিটি কিস্তি ৬৫০ মিলিয়ন ডলার করে মোট অর্থের পরিমাণ বেড়ে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।

এদিকে বুধবার ঢাকায় একজন আইএমএফ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে মিশনের ফলাফল নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

syful-islam@outlook.com

 
সর্বশেষ খবর