বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৩.৩% হতে পারে: বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

প্রকাশ :

সংশোধিত :

বিশ্বব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে।

পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদন ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: ট্যাক্সিং টাইমস’-এ বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মোট প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসবে, যা পূর্ববর্তী পূর্বাভাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কম। তবে ২০২৬ সালে এটি আবার ৬ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

বাংলাদেশের পরবর্তী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছানোর সম্ভাবনা থাকলেও, সেটিও পূর্বাভাসের তুলনায় কিছুটা কমে গেছে।

এদিকে এই প্রতিবেদন অনুযায়ী আফগানিস্তানের প্রবৃদ্ধি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে যাবে, যা জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার থেকেও কম।

এ ছাড়া মালদ্বীপে নতুন বিমানবন্দর টার্মিনাল উদ্বোধনের ফলে ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। তবে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।

নেপালে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে প্রবৃদ্ধি কমে ৪ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়াবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এটি ৫ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। 

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বৈদেশিক চাপ ও মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কাটিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পাকিস্তানে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৩ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।

ঋণ পুনর্গঠনের অগ্রগতির কারণে ২০২৫ সালে শ্রীলঙ্কার প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। তবে ২০২৬ সালে এটি কিছুটা কমে ৩ দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। 

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার মন্তব্য করেছেন, “এই অঞ্চলে গত এক দশকে নানা অর্থনৈতিক ধাক্কা প্রভাব ফেলেছে। তাই এখনই সময় বাণিজ্যিক সুযোগ প্রসারিত করা, কৃষি খাত আধুনিকীকরণ এবং বেসরকারি খাতকে আরো সক্রিয় করে তুলতে হবে।”

প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, রাজস্ব বৃদ্ধি করার জন্য কর ব্যবস্থার সংস্কার, ফাঁকফোকর দূর করা, কর বিধিমালা সহজ করা, কর আদায়ে প্রযুক্তি ব্যবহার, কর অব্যাহতি কমানো এবং পরিবেশগত দূষণমূল্য আরোপ করা প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর